ডেস্ক রিপোর্ট : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বাড়ির বসতভিটা জবরদখল করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে প্রতিপক্ষের নিয়োজিত লোকজন লাকী আক্তার নামের এক নিরীহ নারীকে শারিরিক নির্যাতন চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এসময় ওই নারীকে শ্লীলতাহানির ঘটনানো হয়। শুধু তাই নয়, বসতভিটা ছেড়ে না দিলে নারীসহ ছেলে-মেয়েকে খুন ও জখমের হুমকি দেয়া হয়। হুমকির পর থেকে নিরীহ পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
বুধবার (২৪ মার্চ) রাতে উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের সাওঘাট এলাকায় ঘটে এ ঘটনা। নির্যাতি লাকী আক্তার সাওঘাট এলাকার মানিক মৃধার স্ত্রী।
লাকী আক্তার অভিযোগ করে জানান, সাওঘাট গ্রামে চার শতাংশ জমি ক্রয় সুত্রে মালিক হয়ে বসতভিটা নির্মাণ কওে স্বামীসহ ছেলে-মেয়েদের নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস করে আসছেন তিনি। বেশ কিছু দিন ধরেই একই গ্রামের আসাদ মৃধার ছেলে সোহেল মৃধা ওই বসতভিটা ও জায়গা জোরপুর্বক জবরদখল করে উচ্ছেদের পায়তারা চালিয়ে আসছে। রাতে সোহেল মৃধার নেতৃত্বে তার ভাড়াটে ৮ থেকে ১০ জনের একদল সন্ত্রাসী রামদা, চাপাতিসহ ধারালো ও দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে লাকী আক্তারের বসতভিটায় এসে গালিগালাজ শুরু করে। এসময় জোরপুর্বক বসতভিটা জবরদখলের চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে দখলে বাঁধা ও প্রতিবাদ করায় লাকী আক্তারকে শারিরিক নির্যাতন চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন। পরে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটায়। এসময় বসতভিটা ছেড়ে না দিলে লাকীসহ ছেলে-মেয়েকে খুন ও জখমের হুমকি দেয়া হয়। হুমকির পর থেকে নিরীহ পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ ঘটনায় লাকী আক্তার বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তবে, প্রতিপক্ষ সোহেল মৃধার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিনুল কাদির বলেন, এ ধরনের ঘটনার একটি অভিযোগ পেয়েছি। ব্যবস্থা নেয়ার জন্য একজন এসআইকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।