ডেস্ক রিপোর্ট : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এনজেড টেক্সটাইল লিমিটেড নামে একটি রপ্তানিমুখী কারখানার তুলা ও কাপড়ের গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে তুলা, কাপড়সহ মেশিনারীজ মালামাল পুড়ে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে কারখানা কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন।
ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট প্রায় সাড়ে ৩ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। তবে, হতাহতের কোন সংবাদ পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে উপজেলা গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের বলাইখা এলাকায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
শ্রমিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎ করে এনজেড টেক্সটাইল লিমিডেটের গ্রে কাপড়ের গোডাউনে আগুন ধরে যায়। গোডাউনে থাকা শ্রমিকরা আগুন আগুন বলে চিৎকার করে গোডাউন থেকে বেরিয়ে যায়। মূহূর্তের মাঝে আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে যেতে থাকে।
এতে পুরো টেক্সটাইল মিলে শ্রমিকদের মাঝে আগুন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শ্রমিকরা ছুটাছুটি করতে শুরু করে। পরে কারখানার ব্যবস্থাপনায় শ্রমিকরা আগুন নেভানোর চেষ্টা শুরু করে। ততক্ষনে আগুনের লেলিহান শিখা আরো বাড়তে থাকে। ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে আশ-পাশের গ্রামের মানুষের মাঝেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ডেমরা, কাঞ্চন, আড়াইহাজার ও আদমজী ফায়ার সার্ভিসের মোট ৯ টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে শুরু করে। প্রায় টানা সাড়ে ৩ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
ততক্ষনে গোডাউনে থাকা কাপড়, তুলা, ১৫ কোটি টাকা মুল্যের রিসাইক্লিন প্লান্টসহ পুরো গোডাউনের সেটটি পুড়ে যায়। আগুনের কারণে গোডাউনের ভবনটি ড্যামেজ হয়ে যায়। তবে, তুলা ফেটার মেশিন থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে বলে বেশ কয়েকজন শ্রমিক জানান।
এনজেড গ্রুপের দায়িত্বরত বেনু আহাম্মেদ বলেন, এনজেড গ্রুপ একটি রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠান। এ গ্রুপে কয়েক হাজার শ্রমিক কাজ করেন। সুনামের সাথে প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। কারখানায় আগুন নেভানোর সকল প্রকার ব্যবস্থা থাকায় এবং সময় মতো ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উপস্থিত হওয়ায় কারখানার অন্যান্য সাইটে আগুন ছড়ায়নি। আগুনে পুড়ে প্রায় ৩৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরিফিন বলেন, অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ডেমরা, কাঞ্চন, আদমজী ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট প্রায় সাড়ে ৩ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে, সময় মতো আগুন নেভাতে না পারলে আশ-পাশে আগুন ছড়িয়ে আরো বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারতো। আগুনে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আগুনের সুত্রপাত এখনও সঠিক ভাবে বলা যাচ্ছেনা। তবে, ধারনা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক সর্ট-সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হতে পারে।