ডেস্ক রিপোর্ট ঃ রূপগঞ্জের ভুলতার লাভরাপাড়ায় এবার সৎ মাকে জবাই করে পাষন্ড ছেলে হত্যা করেছে। হত্যার পর ঐ ছেলে বীরদর্পে রূপগঞ্জ থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছে। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। পারিবারিক কলহের জের ধরেই সেলিনা আক্তার (৪০) নামে মানসিক প্রতিবন্ধি সৎ মাকে তার ছেলে আমির হোসেন জবাই করে হত্যা করেছে।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে সে থানায় এসে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের লাভরাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সেলিনা আক্তার (৪০) আড়াইহাজার উপজেলার লষ্করদি এলাকার তাহের আলীর মেয়ে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর গত তিন বছর আগে উপজেলার লাভরাপাড়া এলাকার নুরু মিয়ার সঙ্গে সেলিনা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর জানা যায় সেলিনা আক্তার মানসিক প্রতিবন্ধি। নুরু মিয়ার আগের সংসারের ছোট ছেলে আমির হোসেনের স্ত্রী বিথী আক্তারের সঙ্গে সৎ মা সেলিনা আক্তারের প্রায় সময় বাকবিতন্ডা হতো।
গত সোমবার (১১ জানুয়ারি) স্ত্রী বিথী আক্তার তার সৎ শাশুড়ির সঙ্গে চুলায় রান্না করা ও বিছানা প্রশ্রাব করার বিষয় নিয়ে বাকবিতন্ডা করে তার বাবার বাড়ি চলে যায়। মঙ্গলবার রাতে বাবা নুরু অনুপস্থিতিতে সৎ মা সেলিনা আক্তারের সঙ্গে ছোট ছেলে আমির হোসেনের এসকল পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে সেলিনা আক্তার ধারালো ছুড়ি নিয়ে ছেলের দিকে তেড়ে যান। এসময় আমির হোসেন সৎ মা’র হাত থেকে ছুড়ি কেড়ে নিয়ে জবাই করে হত্যা করে। খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় আমির হোসেন পলাতক ছিলো। তবে বুধবার সকালে সে বীরদর্পে রূপগঞ্জ থানায় উপস্থিত হয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমপর্ণ করেন।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, আমির হোসেন থানায় এসে আত্মসমপর্ণ করেছেন। সে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।