নিউজ ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার এক যুবককে ভ্যানের ব্যাটারি চুরির অভিযোগে নরসিংদীর জেলার মাধবদীর আবদুল্লাকান্দি এলাকায় পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে নিহতের পরিবার অভিযোগ করেছে। নিহত যুবক আব্দুল আলী হোসেনের বাড়ি রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের ভায়েলা এলাকায়।
রবিবার (১০ জানুয়ারি) বিকালে মাধবদী থানা পুলিশ আবদুল্লাকান্দি এলাকার শরীফ মিয়ার বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। আব্দুল আলী হোসেন নিহতের খবরে রূপগঞ্জের ভায়েলা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহতের স্ত্রী রেহেনা বেগম জানান, গত আড়াই বছর ধরে তার স্বামী আব্দুল আলী হোসেন নরসিংদী জেলার মাধবদী উপজেলার আব্দুল্লাকান্দি এলাকার শরীফ মিয়ার সুতার কারখানায় ডয়ারম্যান হিসেবে কাজ করে আসছিল। গত ৯ জানুয়ারি শনিবার রাত ১১ টার দিকে তার স্বামী আলী হোসেনের সঙ্গে স্ত্রী রেহানা বেগমের মোবাইলে ফোনে কথা হলে তিনি তাকে মধাবদী থেকে বাড়িতে নিয়ে যেতে বলেন। গত রবিবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে রেহানা বেগম ও তার শাশুড়িকে নিয়ে আব্দুল্লাকান্দি এলাকায় পৌঁছে জানতে পারেন স্বামী আলী হোসেনকে ভ্যান গাড়ির ব্যাটারি চুরির অভিযোগে রাতেই শরীফ হোসেন, তার স্ত্রী শারমীন ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা লোহার রড দিয়ে বেধরক পিটিয়েছে। রেহানা বেগম ও শাশুড়িকে নিয়ে শরীফ মিয়ার বাড়িতে গেলে আলী হোসেন সুস্থ্য আছেন বলে জানান শরীফের স্ত্রী শারমিন বেগম। পরে শারমিন বেগম নানা টালবাহানা করে রেহানা বেগম ও তার শাশুড়িকে একটি কক্ষে আটকে রাখেন। এসময় রেহানা বেগম মোবাইল ফোনে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের আটকে রাখার বিষয়টি জানালে পরিবারের লোকজন গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন। পরে স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যরা আলী হোসেনের রুমে গিয়ে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। পরে বিকেলে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। স্ত্রী রেহেনা বেগমের দাবি তার স্বামী আলী হোসেনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী রেহেনা অভিযোগ করে বলেন, এ ঘটনায় নিহতের পরিবার হত্যা মামলা করতে মধাবদী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজ্জাকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও তিনি অভিযোগটি গ্রহণ করেনি। এদিকে, ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহের জন্য নানা তথ্য-উপাত্ত লোপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বাড়িটি সিসিটিভি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হলেও সিসিটিভির সংযোগের তার কাঁটা ছিলো। গায়েব হয়ে গেছে কম্পিউটারের পিসি। নিহতের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও পাশের রান্নাঘরে পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে মাধবদী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজ্জাক বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অপরদিকে, তবে মাধবদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দুজ্জামান বলছেন, পরিবারের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।