নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানী ঢাকার উপকণ্ঠ রূপগঞ্জ উপজেলায় জেকে বসেছে শীত। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মতো মতো এ উপজেলাটি কুয়াশার চাদঁরে ঢেকে না গেলেও শীতের প্রকোপ এখানেই ভালই। চারদিকে যেন হিমেল হাওয়া অনূভূতি। শীতকালে পিঠা খাওয়া হবে না তা কি হয়? রূপগঞ্জ উপজেলার বীর প্রতীক গাজী সেতুতে বসেছে নানা রকম শীতের পিঠার আয়োজন।
সেতুটিতে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের খাবারের তালিকায় প্রথম স্থানে থাকে শীতের পিঠা। সেতুটির পাশে স্থানীয় মহিলারা ঘরের কাজের পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উদ্দেশ্যে শীতের পিঠা বিক্রি করছেন। এখানে তারা চিতই পিঠা, ভাপা পিঠা, চাপটিসহ নানা রকম শীতের পিঠা বিক্রি করছেন। পিঠার সঙ্গে খাওয়ার জন্য রয়েছে শুকটির ভর্তা, ডাল ভর্তা, ধনিয়া পাতা ভর্তা, আলু ভর্তাসহ নানা ধরনর রকমারি ভর্তা। ভর্তার সঙ্গে এ সকল পিঠা খেলে যেন মনের ভেতরে এক প্রকার আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায়।
কথা হয় শীতের পিঠা খেতে আসা কয়েকজন দর্শনার্থীর সঙ্গে তারা বলেন, শীতকালে পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। গাজী সেতুতের ঘুরতে এসে আমাদের মতো অনেক পর্যটক এখানে বসে পিঠা খায়। পিঠার সঙ্গে থাকা রকমারি ভর্তা খেতে খুবই ভাল লাগে।
কথা হয় পিঠা বিক্রেতা নাজম আক্তারের সঙ্গে তিনি বলেন, ঘরের কাজকর্ম শেষ কইরা বিকেল বেলা আসি এইহানে পিঠা বেচঁতে গাজী ব্রীজে লোকজন বেশি থাকলে পিঠা বেশি বেচঁতে পারি। আর যেই দিন লোক থাহে না হেইদিন বেচাঁকেনাও বেশি অয় না। সংসারের কাজ কইরা যতদূর পারি এই কাজ করি। ব্রীজের ঘুরতে আইলে মানুষ আমাগো কাছ থেইকা পিঠা কিন্না খায়।